বিকাশের চার্জ কমছে, ধন্যবাদ নগদ কে

বিকাশের চার্জ কমছে, ধন্যবাদ নগদ কে

 

বিকাশের চার্জ কমছে, ধন্যবাদ নগদ কে

মোবাইল ব্যাংকিং বা মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস অল্পদিনেই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী রয়েছে। ব্যাংকিং সেবা দেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্যে দেশব্যাপী বিস্তৃত মোবাইল নেটওয়ার্ক একটি দ্রুত ও দক্ষ মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে মোবাইল ব্যাংকিং।

বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং ইন্ড্রাস্ট্রিতে সবচাইতে বড় মার্কেট শেয়ার ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ। বিকাশ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন ভিত্তিক অর্থ স্থানান্তর (এমএফএস) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। বিকাশ আমেরিকার মানি ইন মোশন এলএলসি এবং ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগ হিসাবে ২০১১ সালে শুরু হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি প্রতিষ্ঠানটিকে। বিকাশ প্রতিষ্ঠার পূর্বে যেসকল মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা বাজারে ছিল যেমন রকেট তৎকালীন নাম ছিল ডাচ-বাংলা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং, ট্যাপ তৎকালীন নাম ছিল ট্রাস্ট মোবাইল মানি তারা কেউ বিকাশের ধারের কাছেও আসতে পারেনি। বিকাশ তাদের কর্মকান্ড দ্বারা অজর্ন করেছে সেরা এমএফএস ব্র্যান্ড পুরস্কার (ব্র্যান্ড ফোরাম, ২০১৭), ২৩তম চেঞ্জ দ্যা ওয়ার্ল্ড পুরস্কার, আর্থিক খাতে সেরা উদ্ভাবন (বাংলাদেশ ইনোভেশন পুরস্কার, ২০১৮) ইত্যাদি।

দেশের বেশিরভাগ মানুষ বিকাশ ব্যবহার করার পরেও বিকাশের চার্জ অন্যান্য মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস থেকে বেশি ।সিংহভাগ মানুষ লেনদেনের জন্য বিকাশ ব্যবহার করলেও তাদের মধ্যে একটি ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ছিলো বিকাশ নিয়ে। বিকাশের গ্রাহকসেবা ও আনুষঙ্গিক সুবিধা গ্রাহককে কিছুটা তৃপ্তি দিলেও চার্জগুলো সব সময়ই বিষময় মনে হতো। ১ লাখ টাকা যদি কেউ বিকাশের মাধ্যমে ক্যাশইন করে উত্তোলন করতে যায় তখন তাকে সর্বোচ্চ ১.৮৫% হারে  ১৮৫০ টাকা  ফি দিতে হচ্ছে। যেখানে কোন ব্যাংকেও আর্ন্তজেলা লেনদেনের জন্য লাখ টাকা ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা রাখা হয়। আর জেলা শহর বা ব্যাংকের জোনের মধ্যে লেনদেনতো সাধারনত একবারেই ফ্রি।

দেশের বেশীরভাগ মানুষকে বিকাশের সাথে সম্পৃক্ত করতে পেরে বিকাশ এতদিন অনেকটাই একচেটিয়া ব্যবসা করেছে। বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাশা ছিলো স্বল্প খরচে মোবাইল ব্যাংকিং -এ লেনদেনের সুবিধা প্রাপ্তি। দেশের মানুষের এই প্রত্যাশ্যর কিছুটা হলেও প্রাপ্তি ও বিকাশের এই  একচেটিয়া ব্যবসা নীতি থেকে সরে আসতে বাধ্য করেছে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসনগদ” 

নগদ বাংলাদেশ ডাক, টেলিযোগাযোগ তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ফোন ভিত্তিক ডিজিটাল আর্থিক সেবা এটি বাংলাদেশ ডাক বিভাগের পূর্বে চালুকৃত পোস্টাল ক্যাশ কার্ড এবং ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেম (ইএমটিএস)-এর নতুন সংস্করণ। নগদ ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠত একটি দ্রুত বর্ধনশীল ব্র্যান্ড। নগদ প্রতিষ্ঠার পর থেকে তাদের স্বল্প মূল্যে পরিষেবা গ্রহনের সুযোগ, সহজে একাউন্ট খোলার সুবিধা, স্মুথ লেনদেন সহ আরো অনেক সুবিধা নিয়ে খুব দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করতে সক্ষম হয় নগদ।

নগদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে ভাঙতে শুরু করে বিকাশের একচেটিয়া ব্যবসা নীতি। দীর্ঘদিন দেশের মানুষ দীর্ঘ সময় পর মোবাইল ব্যাংকিং লেনদেনে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে। নগদ তার এই অল্পদিনের যাত্ত্রায়। যদি নগদ সময়টি পর করেছে বিভিন্ন আলোচনা ও সমলাচোনার মধ্য দিয়ে নগদের প্রতি পুরো দেশের মানুষ কৃতজ্ঞ।    

বিকাশ সম্প্রতি তাদের চার্জ কমানো শুরু করেছে। না করেও উপায় নেই , কারন এখন বাজারে চলছে প্রতিযোগীতামূলক ব্যবসা। বাংলাদেশে ২০২১ সালের এই সময় এসে মোবাইল ব্যাংকিং খাতে এই প্রতিযোগীতামূলক পরিবেশ যে তৈরী করেছে সেই প্রতিষ্ঠানটি একমাত্ত্র নগদ।

এখন বিকাশ শর্ত সাপোক্ষ হাজারে ১৪.৫০ টাকায় ক্যাশ আউট করতে দিচ্ছে। কিছুদিন আগে যেখানে বিকাশ থেকে সিটি ব্যাংকে ফান্ড ট্রান্সফর ফি ছিলো প্রায় ২% সেটি এখন ১% এ নেমে এসেছে। এগুলো সব এমনি এমনি হয়নি।   

তবে দেরীতে হলেও বিকাশকে ধন্যবাদ যে তারা তাদের চার্জ/ফি কমাতে শুরু করেছে। দেশের অধিকাংশ মানুষ যেহেতু এখানো মোবাইলে ব্যাংকিং লেনদেনের জন্য বিকাশ কেই বেশী ব্যাবহার  করে সুতরাং তাদের এই মানবিক সিদ্ধান্ত কে আমরা স্বাগত জানাই।

পাশাপশি ধন্যবাদ জানাই নগদ কতৃপক্ষকে দেশের মোবাইল ব্যাংকিং খাতে এই বিপ্লব নিয়ে আসার জন্য। আমাদের কোন নির্ধিষ্ট ব্রান্ড বা সেবাদানকারীর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যমূলক কোন কর্মকান্ড নেই। তবে আমরা সব সময় দেশের সাধারন মানুষের স্বার্থ নিয়ে বলতে ও লিখতে পছন্দ করি।

ধন্যবাদ সবাইকে

এস এম শামীম হাসান

প্রধান নির্বাহী অফিসার

ব্যাংকিং টাচ


 সকল ক্যাটাগরী ব্রাউজ করতে এখানে ক্লিক করুন... 

ব্যাংকিং টাচে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের উন্মুক্ত এই অনলাইন পরিষেবাকে সৃজনশীলতার মঞ্চ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখতে বদ্ধ পরিকর। আমরা আপনাদের নিকট হতে ব্যাংকিং ও আর্থিক বিষয়ক শৈল্পিক, শিক্ষামূলক, ডকুমেন্টারি, গবেষণামূলক বা বৈজ্ঞানিক আলোচনা সংক্রান্ত কন্টেন্ট বা যেসব কন্টেন্ট থেকে জনগণ উপকৃত হন এমন সব কন্টেন্ট প্রত্যাশা করি। আপনার মূল্যবান কন্টেন্ট আমাদের কাছে পাঠাতে ই-মেইল করুন  [email protected] এই ঠিকানায়।

আপনার একটু সমর্থনই আমাদের এগিয়ে চলা ও আরও ভাল কিছু করার অনুপ্রেরণা যোগায়। আপনার মূল্যবান সমর্থনটি জানাতে ভিজিট করুন আমাদের সমাজিক যোগযোগের পেজগুলোতে ও লাইক, ফলো ও সাবস্ক্রইব করে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ

ফেসবুক

ইনস্ট্রাগাম

টুইটার

ইউটিউব

কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। বিস্তারিত.......


ইনফো সোর্স – উইকিপিডিয়া